বৃদ্ধাশ্রমে তাদের নিরানন্দ ঈদ || নিজস্ব প্রতিবেদক || প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০২২
কল্যাণ ফান্ড, পেনশন, জীবন বিমা সব নিয়ে আমাকে সন্তানরা ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। আমি বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে চাই। পরিবারে আর ফিরতে চাই না। কথাগুলো বলছিলেন ৭৫ বছর বয়সী মো. সেলিম চৌধুরী। ৭ বছর ধরে থাকছেন কল্যাণপুরের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রমে।
রোববার (১০ জুলাই) ঈদুল আজহার দিন জাগো নিউজকে তিনি বলেন, প্রতি ঈদে মেয়েদের জন্য নতুন কাপড় কিনতাম। যা চাইতো তাই কিনে দিতাম। কিন্তু মেয়েরা সব নিয়ে গেছে। বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। কোনো খোঁজ খবর নেয় না। আমার স্ত্রী মারা যায় ২০১৪ সালে। অবসরে গিয়েছি ২০১২ সালে। দুই মেয়ে চট্টগ্রামে সরকারি চাকরি করে। তাদের ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন তাদের কথা মনেও করতে চাই না।
সেলিম চৌধুরীর মতো বৃদ্ধাশ্রমটিতে পরিবারহীন এমন বাবা-মা আছেন ১৩৫ জন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছে ৩০ জন। তাদের সবাইকেই কুড়িয়ে আনা হয়েছে রাস্তা থেকে। বৃদ্ধাশ্রমের কয়েকজন বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের জীবনের কষ্ট-দুঃখের কথা।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর রাজধানীর কল্যাণপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেন মিল্টন সমাদ্দার।
তিনি জাগো নিউজকে জানান, গত ৮ বছরে আমরা ৪০০ বাচ্চা, ১১০০ বৃদ্ধ মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাদের এখানে রাখা হয়। প্রতি সপ্তাহে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসে সবাইকে দেখে যান।
বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একেক সময় স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয় সবই ছিল তাদের। তবে আজ তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যদিও বৃদ্ধাশ্রমে জীবনের সেকেন্ড ইনিংস ভালোই কাটছে তাদের। ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড়, পছন্দ মতো খাবার পেয়েছেন তারা।
মিল্টন সমাদ্দার বলেন, আমি তাদের জন্য খুব সামান্য করতে পেরেছি। সাভারে আমাদের নতুন ভবন হচ্ছে। কল্যাণপুরের বৃদ্ধাশ্রমে প্রতি মাসে ২৮ লাখ টাকা খরচ হয়। এর সামান্য অংশ আমি নির্বাহ করতে পারি। বাকিটা মানুষের অনুদান ও সাহায্য থেকে সংগ্রহ করি।
এসএম/এমএইচআর/এএসএম
আবাসন নির্মানকাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজন সহযোগিতা
28 Nov | Watch Video
যেখানে খালি হাতে ফিরেনা কেউ
28 Nov | Watch Video
প্রধান শিক্ষকের ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রমে
28 Nov | Watch Video
প্রতিবন্ধী শিশুদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্প
28 Nov | Watch Video
আপনার ১০ টাকা দানে ভালো থাকবে এই অসহায় বৃদ্ধ বাবা মায়েরা
28 Nov | Watch Video