posted: 16 Jun 2019 | By:
১ অক্টোবর, বিশ্ব প্রবীণ দিবস...
'' ভবিষ্যৎ অগ্রসরে : সমাজে প্রবীণদের দক্ষতা,অবদান ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন ''
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর পহেলা অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয়।
আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। ২০৫০ সালে প্রায় সাড়ে চার কোটি এবং ২০৬১ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি প্রবীণ জনগোষ্ঠী হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন।www.childandoldagecare.org
আনন্দ-বেদনা আর পাওয়া-না পাওয়ার মানব জীবনের শেষ অধ্যায় হলো প্রৌঢ় বা প্রবীণ বয়স। প্রবীণ মানে শুধু বেশি বয়সী ব্যক্তি বা বৃদ্ধ বুঝায় না। শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও এই প্রবীণদের সঞ্চিত পরিপক্ব অভিজ্ঞতা, বিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনাই পরবর্তী প্রজন্ম তথা পরবর্তী পৃথিবীর উত্তরণের পথ দেখায়।
সামাজিক মূল্যবোধের কিছু ফাটলের কারণে কারো বাবা-মায়ের জায়গা হচ্ছে ঘরের বাহিরে। আর কেউ তাদের আশ্রয়ে আপন মূল্যবোধের তাগিদে তৈরি করছে বৃদ্ধাশ্রম। হিসেব অনুযায়ী যেখানে আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত আর্থিক অসচ্ছলতার কারণেই প্রবীণরা পরিবারে ও সমাজে উপেক্ষা, অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হন। ‘কারণ এই বয়সে তাদের যত্ন নেওয়াকে অনেকে বড় সমস্যা মনে করে। বোঝা হিসেবে বিবেচিত করায় কখনো কখনো ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্যের করুণার পাত্র হয়ে বাকিজীবন অতিবাহিত করতে হয়।
প্রবীণদের প্রাপ্য ভালোবাসা, সম্মান আজ করুণায় রুপ নিয়েছে। প্রকৃতির নিয়মে একদিন এই সন্তানরা প্রবীণ হবে। তাই পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে, সম্মান পেতে নিজেদের প্রবীণদের প্রতি সহনশীল হওয়া জরুরি।
জীবনের শেষভাগ যেন সফল, সার্থক, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আপনজনের সান্নিধ্যে কাটে তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হতে হবে। কারো জীবনের শেষ সময়টা যেন পরিবারহীন বৃদ্ধাশ্রমে না কাটে।
আজ যাদের প্রবীণ বলা হচ্ছে, তাদের জীবনে আমরাও একদিন প্রবেশ করবো। আজকের সন্তান আগামী দিনের পিতা বা মাতা হবে। তাদের জগত আমাদের দেখানো পথেই চলবে। বৃদ্ধাশ্রম যেন কোন বাবা-মায়ের শেষ বয়সের ঠিকানা না হয়।