জন্মদান কিংবা গর্ভধারণ জীবনচক্রে সাধারণ প্রক্রিয়া হলেও রাস্তায় পরে থাকা উলঙ্গ পাগলীরা গর্ভবতী হলে সেটা সমাজের জন্য এক ন্যাক্কার সমাজের উদাহরণ হিসেবেই গণ্য হবে। আর আমাদের দেশ অতিতে এরকম হাজারও ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বারংবার। দেশের বিভিন্ন রাস্তায়, নালা-নর্দমায়, ডাস্টবীনে প্রায়ই অসংখ্য নারী পাগলীদের দেখা যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এই সকল মা-বোনেরা পোশাক গায়ে রাখে না আর এই সুযোগে রাস্তার অজ্ঞাত পাগলী মা-বোনেরা নপুংসক কাপুরুষের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে রাস্তায়ই গর্ভবতী হচ্ছেন। রাস্তায় রাস্তায় অসহায়, অসুস্থ হয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। ডাস্টবিন, নালা-নর্দমা থেকে ময়লা আবর্জনা কুঁড়িয়ে খেয়ে বেঁচে থাকছেন শুধুই বাঁচার জন্য। থাকছেন খোলা আকাশের নিচে। রোদ-বৃষ্টি, ঝড় কিংবা তীব্র শীত! প্রকৃতির সকল বৈপরীত আবহাওয়ায়ই পেটে বাচ্চা নিয়ে দিনাতিপাত করেন নিদারুন কষ্টে। অথচ আমাদের সুস্থ সমাজে একজন গর্ভবতী মাকে আমরা দিয়ে থাকি সর্বোচ্চ যত্ন এবং সহানুভূতি। ডাক্তার, ঔষধ, চেক-আপ নিয়ে থাকে নানান আয়োজন। সন্তান প্রসবের জন্য থাকে নানা প্রস্তুতি।
কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন যেসকল পাগলী মা-বোনেরা রাস্তায় নপুংসকদের দ্বারা গর্ভবতী হচ্ছেন, রাস্তায় ময়লা আবর্জনা খেয়ে দিন পার করছেন, নেই কোনো যত্ন-সহানুভূতি, ডাক্তার-ঔষধ কিংবা পারিবারিক স্নেহ তারা কিভাবে বেঁচে আছেন?
আবার এই সকল পাগলী বোনেরা যখন রাস্তায় সন্তান প্রসব করেন তখন সৃষ্টি হয় আরেক নিদারুন দৃশ্যের। সদ্য জন্ম নেয়া মানব শিশুকে রাতের আধারে শেয়াল-কুকর ছিড়ে ছিড়ে খেয়ে ফেলছে, কাক, চিলে ঠুকরে ঠুকরে ছিন্নভিন্ন করে ফেলছে নিষ্পাপ শিশুর নাড়ি, চোখ, মাথার মগজ ইত্যাদি। সদ্যজাত শিশুকে মজার আহার মনে করে এসকল যন্তু-জানোয়ারেরা মেতে ওঠে পৈশাচিক আনন্দে। জন্ম অভিসাপের সমাপ্তি হয়ে যায় ভোরের আলো ফোঁটার আগেই।
কখনও কখনও এই সদ্য জন্ম নেয়া নিষ্পাপ শিশুরা অসাদু চক্রের হাতে পরে বিক্রি হয়ে যায় দেশ-দেশান্তরে। অথবা সুস্থ স্বাভাবিক শিশুদের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী করে তাদের দিয়ে করানো হয় ভিক্ষাবৃত্তি। কেউ কেউ এই শিশুদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বড় করলেও তাদের দিয়ে তৈরি করে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্যাং। সংঘটিত করায় খুন, রাহাজানী, ডাকাতিসহ নানান সমাজ গর্হিত কাজ।
তাই রাস্তায় পরে থাকা অজ্ঞাত গর্ভবতী পাগলী মা-বোনদের নিরাপত্তা এবং অনাগত নিষ্পাপ মানব শিশুদের অনিশ্চিত জীবনের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের বৃহত অজ্ঞাত, অসহায় মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্র চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের নতুন বছরের নতুন কার্যক্রম হিসেবে অজ্ঞাত, উলঙ্গ, গর্ভবতী পাগলী মায়েদের পূণর্বাসন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। যেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুধুমাত্র রাস্তায় বসবাস করা অজ্ঞাত গর্ভবতী পাগলীদের নিরাপদ আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে এবং এই সকল গর্ভবতী পাগলী বোনেরা পাবেন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপদ সন্তান প্রসবসহ সকল মৌল-মানবিক অধিকার। থাকবে সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সকল নিশ্চয়তা।
সুতরাং চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকেট অনুরোধ আপনার পাশে কিংবা চলাফেরার পথে রাস্তায়, মোড়ে, ডাস্টবিনে যেখানেই কোনো অসহায় উলঙ্গ পাগলি গর্ভবতী মা-বোনদের দেখতে পাবেন সরাসরি আমাদের ঠিকানায় বা আমাদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করবেন। পাগলি মায়ের নিরাপদ আশ্রয় দিতে দ্রুত ছুটে যাবে আমাদের দায়িত্বশীল সেবাকর্মীরা।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করার - বিস্তারিত জানতে Milton Samadder
------------------------------------
সরাসরি বৃদ্ধাশ্রম ভিজিট করুন- Child & Old Age Care.
বৃদ্ধাশ্রম -হাউস#৪৬২, রোড#০৮ দক্ষিণ পাইকপাড়া, কল্যাণপুর, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।